‘বিএনপি বাড়াবাড়ি করলে উত্তম-মধ্যম দেওয়া হবে’: নানক

আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীবাসীকে আতঙ্কিত না হতে আশ্বস্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি (নানক) বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আপনাদের জন্য পাহারায় আমরা রয়েছি। ঢাকাবাসীর জন্য আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পাহারা দেবে। ওরা যদি কোনো জায়গায় হাত দেয় সেই হাত ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হবে।’
আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জাহাঙ্গীর কবির নানক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওদের একটি মাইরের 'পেন্ডিং' আছে। ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের খুন করেছে, হাত-পা কেটেছে, চোখ উপড়ে ফেলেছে, বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। কিন্তু নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল কোনো গোলযোগ করা যাবে না। আমরা সেদিন কোনো প্রতিশোধ নিইনি। সেই মাইরটা কিন্তু 'পেন্ডিং' রয়েছে। সমাবেশের নামে কেউ বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই পেন্ডিং থাকা উত্তম-মধ্যম কিন্তু শুরু হয়ে যাবে।’
নানক বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনগুলো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নেত্রীর নির্দেশে ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন করা হয়েছে। নেত্রী নির্দেশ দিয়েছিল- সম্মেলন শেষ হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ-ডেকোরেশন কোনো কিছুই থাকতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় আমরা সকল অবকাঠামো সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু চোরেরা না শুনে ধর্মের কাহিনী- বিএনপির গাত্রদাহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। কারণ ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের পূর্বপুরুষ পাকিস্তানিরা বাংলার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ওই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের গাত্রদাহ কারণ ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে বাংলার স্বাধীনতার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলী এই সদস্য আরও বলেন, ‘এই শক্তি অপশক্তি। এ শক্তিকে যারা সমর্থন দিয়েছে- ড. জাফরুল্লাহ, মাহমুদুর রহমান মান্না, আসম আব্দুর রব, নুরুল হক নুর এরা কারা? এরা হচ্ছে একদলের এক নেতা। দুইজন আর নেই। এদের বিরুদ্ধে আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বের শান্তির এ সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উচ্চ পর্যায়ের আরও নেতারা বক্তব্য রাখেন।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description