
জলঢাকায় বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় শিশু পার্ক
নুর আলম বাবু, নীলফামারী ॥
প্রাকৃতিক ও নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে নীলফমারীর জলঢাকার উপজেলার বালাগ্রাম সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সারি সারি হরেক প্রজাতির গাছের মাঝখানে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্যে স্থাপন করা হয়েছে নান্দনিক শিশু পার্ক। পার্কটি স্থাপনে ক্লাসের ফাঁকে সকাল ও টিফিনের দুপুরে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। ব্যতিক্রমী এই বিনোদনের ফলে দিন দিন বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা। মনোরম পরিবেশ আর পড়াশুনায় শিক্ষার্থীদের উদ্যম ফেরাতে উপজেলা কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধান আফজালুর রহমান।
প্রাকৃতিক ও নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে নীলফমারীর জলঢাকার উপজেলার বালাগ্রাম সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সারি সারি হরেক প্রজাতির গাছের মাঝখানে শিক্ষার্থীদের বিনোদনের জন্যে স্থাপন করা হয়েছে নান্দনিক শিশু পার্ক। পার্কটি স্থাপনে ক্লাসের ফাঁকে সকাল ও টিফিনের দুপুরে খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীরা। ব্যতিক্রমী এই বিনোদনের ফলে দিন দিন বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা। মনোরম পরিবেশ আর পড়াশুনায় শিক্ষার্থীদের উদ্যম ফেরাতে উপজেলা কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠান প্রধান আফজালুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও দৃষ্টি নন্দন পার্কের নানান স্থাপনায় উল্লাসের সাথে খেলাধুলায় মেতে আছে শিক্ষার্থীরা। সারি সারি ফুল ও ফলের গাছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশ ঘটাতে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় স্থাপন করা হয়েছে মিনি পার্ক। খেলাধূলার জন্য বসানো হয়েছে স্লাইড, স্লীপার, দোলনা, জঙ্গলজিমসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। নামাজ শিক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে নামাজঘর। বাই-সাইকেলে আসা দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সাইকেল গ্যাারেজ। পড়াশুনার পাশাপাশি মনোরম পরিবেশে খেলতে পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ফুল ও ফলের গাছের সৌন্দর্যের মাঝে পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এতে আমাদের সহপাঠীরা অনেক অনন্দিত। আমরা খুশি মনে খেলতে পারি। দোলনায় উঠতে আমার খুব ভালো লাগে এজন্য একটু ফাঁক পেলেই দোলনায় উঠে দোল খাই। তাছাড়াও এখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তেছে। আমাদের টিচাররাও অনেক অনেক আদর করে। সন্তানের মতোই আদর করে ক্লাস নেয়। তবে পার্কটি স্থাপন করায় সবাই ভালো করে পড়াশুনা করে। অনেকে ভূলে শুক্রবারেও ক্লাসে আসে। তবে এরকম পার্ক প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হলে পড়ালেখার মান বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।
তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মুমতাহা বলেন, আমাদের বিদ্যালয় সবার সেরা বিদ্যালয়।এখানে পড়তে এসে আমার খুব ভালো। ক্লাসের পাশাপাশি আমরা খেলাধূলা করতে পারি এজন্য অনেক ভালো লাগে। আমার স্লীপারে উঠলে খুব আনন্দ লাগে। প্রত্যেক স্কুল আমাদের স্কুলের মতো হওয়া দরকার। সবাই খেলতে পাবে। বিদ্যালয়ে সন্তানকে সাথে নিয়ে অভিভাবক হুসনেয়ারা বেগম বলেন, বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসছি। আগে সিয়াম স্কুলে আসতে চাইতো না। এখন পার্কটি হওয়ার কারণে সময়ের আগে স্কুলে আসার জন্য কান্না শুরু করে দেয়। তবে পার্কটি হওয়ার কারণে আগের তুলনায় অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেছে।
সাউথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজালুর রহমান বলেন, পার্কটি গড়ে ওঠায় বাড়ছে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। বাড়ছে পড়ালেখার আগ্রহ। শিক্ষার্থীদের এমন উপস্থিতেতে গর্বের সাথে পাঠদানে ব্যবহার করা হচ্ছে নানান উপকরণ। শুধু পাঠদানে নয় বিনোদনেও শিক্ষার্থীদের সাথে মেতে উঠছে শিক্ষকরা। তিনি আরও বলেন, নিজের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের
সহযোগিতায় এই পার্কটি গড়তে সক্ষম হয়েছি। এখন বাচ্চাদের উপস্থিতি আর পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ রকম শিশু পার্ক গড়ে তেলা দরকার। নীলফামারী-০৩ আসনের সংসদ সদস্য মেজর সোহেল মোহাম্মদ রানা বলেন, ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মিনি শিশু পার্কটি স্থাপনের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুন। তবে পার্কটি নির্মানের পর বিদ্যালয়মুখী শিক্ষার্থীদেরকে দেখে বুক ভরে গেছে। পর্যায়ক্রমে বাকী বিদ্যালয় গুলোতে এরকম পার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description