
ছেলের মঙ্গলের জন্য ডিভোর্স দিচ্ছেন পরী
বিনোদন প্রতিবেদক:
৩১ ডিসেম্বর পরী নিজের সঙ্গে রাজের সম্পর্কের অবনতির কথা জানিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম । জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নেই।
পাশাপাশি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি আভাস দিয়েছিলেন, রাজের সঙ্গে তার সংসার ভেঙে যাচ্ছে। শনিবার তিনি গণমাধ্যমে জানান, খুব শিগগিরই রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠাবেন। এরপর শনিবার রাতে শোনা যায় অভিমান ভুলে এক হয়েছেন তারা। কিন্তু রাত না ফুরাতেই ফেসবুকে রক্তমাখা বিছানা-বালিশের ছবি দিয়ে আবারও বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেন পরীমনি।
এবার আর কোনো ইশারা বা আভাস নয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিস্তারিত জানালেন সংসার ভাঙার বিষয়টি। পরীমনি সেখানে রাজের বিরুদ্ধে বারবার গায়ে হাত তোলার অভিযোগ আনেন। পরী স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা, তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন শতকোটিবার যা ইচ্ছে তাই করলেও সবশেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সূত্র হয়ে দাঁড়াল।
পরী আরও লেখেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এতদিন আমার এফোর্টে টিকেছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বারবার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেলাম।
তবে আমার ওপর রাজের পরিবারের কোনো অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব বলে জানান পরী।
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি পরীর বার্তা, ‘সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যারা রয়েছেন আপনারা নিশ্চয়ই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিক ভাবেও আমি বিধ্বস্ত।সবশেষে পরীমনি বলেন, রাজ্য তার বাবা-মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারল না এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে আমার কাছে.
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description