
ছাতকে অপহরণের চব্বিশ দিন পর পাওয়া গেলো বারকি শ্রমিকের লাশ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
অপহরণের ২৪ দিন পরে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রোয়া বিলে ভেসে উঠেছে আবুল হোসেন (৪০) নামে এক বারকি শ্রমিকের লাশ। তিনি উপজেলা ইসলামপুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের ছেলে। মঙ্গলবার(১৫নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের রোয়া বিলে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলা ইসলামপুর ইউনিয়নের সৈদাবাদ গ্রামের মৃত. আব্দুল মনাফের ছেলে আবুল হোসেনকে শুক্রবার ভোর রাতে (২১ অক্টোবর) নিজ বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যান একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে শুকুর আলী, মন্তাজনগর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মনির উদ্দিন, সফিক উদ্দিন, টেঙগার গাঁও গ্রামের মৃত. রমিজ উল্লাহর ছেলে আবুল খয়ের, আবুল খায়েরের ছেলে জাহার মিয়া, নোয়াগঁওর ফরিদ মিয়ার ছেলে হাজী বুলবুল সহ অজ্ঞাতমা আরো ৫/৬ জন।
পর দিন সকাল পর্যন্ত আবুল হোসেন বাড়ীতে ফিরে না আসায় আবুল হোসেনের এর ভাই আলী হোসেন শুকুর আলীসহ অন্যান্যদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু জানেনা বলে জানান।
আবুল হোসেনের স্ত্রী ও ভাই আলী হোসেনসহ আত্মীয় স্বজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজা খোঁজি করে আবুল হোসেনকে না পাওয়ায় পরে ছাতক থানায় জিডি করা হয়।
পরে গত ২ নভেম্বর আবুল হোসেনের মোছা: সবতুন বেগম বাদী হয়ে আমল গ্রহনকারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, ছাতক সুনামগঞ্জ স্বামী মো. আবুল হোসেনকে অপহরণ করে খুন ও লাশ গুম করার অভিযোগ এনে একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে শুকুর আলীসহ ৬ জন আরো অজ্ঞাতমা ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায়,স্থানীয় এক বারকি শ্রমিক এর সাথে আবুল হোসেন এর স্ত্রী মোছা: সবতুন বেগম এর পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল। এ বিষয়টি দেখে ফেলেন মো. আবুল হোসেন। এর জের ধরে আবুল হোসেনকে হত্যা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে আলী হোসেন জানান,আমার ভাইয়ের লাশ রোয়া বিলে পাওয়া গেছে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাতক থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে। জিডি ও আদালতে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি আরো বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description