
চাটমোহরে খ্রিস্টান পল্লীতে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
তোফাজ্জল হোসেন বাবু,চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:
সম্প্রতি পাবনার চাটমোহর উপজেলার খ্রিস্টান পল্লীতে বিয়ের অনুষ্ঠানে মারধরের ঘটনায় এলাকায় শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (০২ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের জগতলা শিশু নিকেতন স্কুল প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার।
সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল, সহকারী পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) বিপ্লব কুমার গোস্বামী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম, মূলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম বকুল, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য, উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, খ্রিস্টান পল্লীর বাসিন্দা পল গমেজ প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চাটমোহর থানার ওসি (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে এলাকার মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা যাতে বিনষ্ট না হয় সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করলে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে। শুধু পুলিশ বাহিনী-ই নয়, সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। গুটি কয়েক মানুষকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চাটমোহরে সকল ধর্মের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছে। সেই সম্প্রীতি কেউ বা কোনো গোষ্ঠি নষ্ট করতে চাইলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর’২২ রাতে জগতলা গ্রামের মৃত সুবল গমেজের ছেলে সনি গমেজের বিয়ের অনুষ্ঠানে তার বাড়ির মেয়েরা নাচ-গান করছিল। তাদের সাথে নাচতে চায় নেশাগ্রস্থ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আমির হোসেন। এতে তাকে নিষেধ করা হলে সনি গমেজের চাচা সুব্রত গমেজকে মারধর করে আমির হোসেন।
পররদিন মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালেও তাদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও নিকট আত্মীয়কে মারধর করে যুবলীগ নেতা আমির, রবিউল ও তাদের সহযোগিরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশি প্রহরায় বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে রাতে অভিযুক্ত দুই নেতাকে আসামী করে মামলা করেন ভুক্তভোগী সুব্রত গমেজ। তবে, ঘটনার এক সপ্তাহেও আসামীদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, ঘটনার পর দুই যুবলীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে উপজেলা যুবলীগ।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description