
চাটমোহরে খ্রিষ্টান পল্লীতে দফায় দফায় হামলা, আতঙ্কে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
পাবনার চাটমোহর উপজেলার জগতলা খ্রীষ্টান পল্লীতে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর স্থানীয় যুবলীগের দুই নেতার নেতৃত্বে দফায় দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ভূক্তভোগি পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন ঐ পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেস্বর) দুপুরে বিয়ে বাড়ি ও এর আশপাশে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। পুলিশ প্রহরায় অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের কার্যক্রম।
যুবলীগের দুই নেতা হলেন, মূলগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি জগতলা গ্রামের মৃত. নূরুজ্জামানের ছেলে আমির হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য জগতলা গ্রামের নুর সালামের ছেলে রবিউল ইসলাম।
জগতলা গ্রামের সুব্রত গমেজ জানান, আমার ভাই মৃত সুবল গমেজের ছেলে সনি গমেজের সাথে গাজীপুরের কালীগঞ্জের লুইস কস্তার মেয়ে বৃষ্টি কস্তার বিয়ের নির্ধারিত দিন ছিল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর)। গায়ে হলুদ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৬ ডিসেস্বর) রাতে সনি গমেজের বাড়িতে আমাদের পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নাচ গান করছিল। এসময় রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে একই গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে আমির হোসেন নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নাচে অংশ নিতে চাইলে আমরা তাকে নিষেধ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে মারধর করে এবং হুমকী ধামকী দেয়। আমার ভাই বিশালের
চোখ তুলে নেওয়ার হুমকী ও দেয়। এর মধ্যে ওর আরো কিছু সহযোগি চলে আসে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত দুইটার দিকে আমির আলীর সহযোগি
চোখ তুলে নেওয়ার হুমকী ও দেয়। এর মধ্যে ওর আরো কিছু সহযোগি চলে আসে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি মিমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত দুইটার দিকে আমির আলীর সহযোগি
রবিউল আমাদের বাড়িতে আসে এবং আবার হট্টগোল শুরু করে। এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানের পেন্ডেলের চেয়ার প্লেট ভাংচুরের ঘটনাও ঘটায়। সকালে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার জন্য গীর্জায় যাওয়ার সময় পথে ভ্যান থেকে নামিয়ে আমির আলী, রবিউল ও তাদের সহযোগিরা ছেলে ও মেয়ে পক্ষের জন কস্তা, শ্রাবন কস্তা, বিশাল কস্তা, জেকসন ক্রুজ, প্রত্যয় গমেজ, ট্যারেস রিবেরু সহ আরো কয়েক জনকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছিলাম এমনকি আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপাতত কোন সমস্যা নেই। যারা এই অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আগেও
অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
অনেক অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description