
গ্রাম- বাংলার হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান ঐতিহ্য খেজুরের রস
মোঃ লিমন গাজী ,তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য সুস্বাদু খেজুরের রস। গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুময় খেজুর গাছ এখন আর দেখা যাচ্ছে না বললেই চলে। দেখা মেলে না শীতের মৌসুম শুরু হতেই খেজুরের রস আহরণে গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ কাটার প্রস্তুতি নেয়া গাছিদের তোড়জোড়।
সরেজমিনে গ্রামঘুরে দেখা যায় এক গাছি খেজুর গাছের ছাল পরিস্কার করে তাতে নলি বসাচ্ছেন। মৌসুম শুরুর আগ হতেই কথাবার্তা পাকা হতো কার ক’টি খাজুর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু এখন আর কেউ ডাকে না। আগের মতো তেমন খেজুর গাছও নেই, আর গ্রামের লোকেরাও তেমন খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করতে চায় না।
জানা গেছে, খেজুরের রস আগুনে জ্বাল দিয়ে বানানো হতো বিভিন্ন রকমের গুড়ের পাটালি ও নালি গুড়। গাছিরা প্রতিদিন বিকেলে খেজুর গাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট-বড় কলসি (মাটির পাত্র) রসের জন্য বেঁধে রেখে, পরদিন সকালে কাঁচা রস সংগ্রহ করে মাটির হাড়িতে নিয়ে এসে হাট-বাজারে বিক্রি করতো। সেই সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে খেজুর গাছ বর্গা নিয়ে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করতো। ফলে সে সময় খেজুর গাছের কদরও ছিল বেশি।
সিলভার তলী এলাকার আবুল কালাম (৬০) জানায়, খেজুর গাছ হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ইট ভাটার জ্বালানী হিসাবে ব্যবহারের জন্য বেপরোয়া খেজুর গাছ নিধন। এতে দিনে দিনে বরগুনা জেলাজুড়ে আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে খেজুরের গাছ।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলার কৃষি অফিসার সুমন হাওলাদার বলেন, তালতলীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে খেজুর গাছ কমে যাচ্ছে। আর এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের বেশি বেশি খেজুর গাছ রোপন করতে হবে।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description