
কেন্দুয়ায় কুয়াশা ও শিশির জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা
আশরাফ গোলাপ ,কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)প্রতিনিধি :
ঋতু বৈচিত্র্যে শরতের শেষেই নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। ইতিমধ্যে হেমন্ত প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলেছে, সেই সাথে শেষ রাতে জানান দিচ্ছে শীতের আগমন ঘটছে। প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে ঋতুর পালাবদল। বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, আগমন ঘটছে উত্তরের হিমবায়ুর। কুয়াশার চাদরে কেন্দুয়ায় পড়ছে সকালের সূর্য, শিশির বিন্দুতে ভিজে উঠছে ঘাস,গাছপালা, লতাপাতা। কেমন যেন শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে উঠছে প্রকৃতি, শরীরের ত্বকে টান পড়ছে, শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ঠোঁট। দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা কমছে উল্লেখযোগ্য হারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের অনুভূতি হলেও পুরোপুরি আমেজ শুরু হবে নভেম্বরের শেষের দিকে। দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর বর্তমানে হেমন্ত ঋতুর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
বাংলা পঞ্জিকায় শেষ প্রান্তিকে অগ্রহায়ন মাস। আজ ২ অগ্রহায়ণ অর্থাৎ হেমন্তকাল। গ্রাম বাংলায় চলছে নবান্নের প্রস্তুতি। ভোরের কুয়াশা কেন্দুয়ায় সূর্য বড়ই কোমল, নিস্তেজ দেখা মিলে না সকাল সাড়ে ছয়টার আগে। লেগে থাকে ঘাসে শিশির বিন্দু। ভোরের ঠান্ডা হাওয়া,দুপুরের মিষ্টি রোদ আর সন্ধ্যার কুয়াশা এখন গ্রামগঞ্জ ,শহর-বন্দরে উত্তরের বাতাসে তাপমাত্রা ক্রমে হেমন্তই এনে দিয়েছে শীতের আগমন। মাকড়সার জালে আটকা শিশিরমাখা ভোরের একরাশ সজীব স্বপ্ন নিয়ে প্রকৃতি এখন মানুষকে কাছে টানছে।
প্রতিদিন ভোর রাতে প্রচন্ড শীত অনুভব করছেন মানুষ। কোথাও কোথাও শীতের কারণে সকালের উত্তপ্ত সূর্যটাও নিস্তেজ দেখা যায়। গাছপালা, ফলমূল, সবুঝঘাস ও ফসলের মাঠও প্রতিদিন সকালে শিশিরাসিক্ত আবার কাক ডাকা ভোর ও সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রকৃতিকে যেন গ্রাস করছে কুয়াশার চাদর। মোটকথা উত্তরের হেমন্তের হাত ধরে আসছে শীত।
সকালে হাঁটতে আসা কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.তাজুল ইসলামসহ পথচারীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, দিনের বেলায় বেশ গরম পড়লেও সন্ধ্যারাত থেকেই শুরু হয় কুয়াশা পড়া। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে কুয়াশার প্রকোপ,সকাল অবধি থাকে এই কুয়াশা। রাত ও ভোরের এই কুয়াশা পথঘাটে দৃষ্টিসীমা হরণ করছে। ঘাস এবং ফসলের ডোগায় জমছে শিশির বিন্দু।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান জয় জানান, বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষণে শীত ও গরম বিরাজ করছে পাশাপাশি এ কারণে শিশুদের মাঝে দেখা যায় সর্দি-কাশি। তাই এসময় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যাতে শিশুদেরকে শীত-গরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description