
কৃষিবান্ধব নীতির ফলে দেশে কৃষি উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে - কুষ্টিয়ায়-কৃষি সচিব
হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি.
কৃষিবান্ধব নীতির ফলে দেশে কৃষি উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ সায়েদুল ইসলাম।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে বিপ্লব এনেছেন, সব রকমের সহযোগিতা দিয়ে সবসময় কৃষকের পাশে থেকেছেন। তার লক্ষ্য শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, বরং কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকের জীবনমানকে উন্নত করা; গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা।
বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জুংগলী গ্রামে ব্রি-ধান ৭৫ ও ব্রি-ধান ৮৭ এর নমুনা শস্য কর্তন এবং নবান্ন উৎসব ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে দেশে কৃষি উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
সরকারের এখন লক্ষ্য হলো এই অর্জনকে টেকসই করার পাশাপাশি সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া।কৃষি উন্নয়নে যে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে প্রতিকূল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৮টি (১০১টি ইনব্রিড ও ৭টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। অজৈব ঘাত সহনশীল যেমন লবণাক্ততা, বন্যা, খরা, শৈত্যপ্রবাহ ইত্যাদি সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করেছে।পাশাপাশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি, চাষযোগ্য জমি হ্রাসসহ নানা কারণে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে চলেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবীদ মো: বেনজীর আলম।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহযোগীতায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়া এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়ার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান মো: মাহবুবুর রহমান দেওয়ান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়ার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: ইফতেখার উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খ. দিল আফরোজ, কুমারখালী উপজেলা কৃষি অফিসার দেবাশীষ বিশ্বাস, কৃষক খসরুজ্জামানসহ।
পরে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে গম বীজ, রাসায়নিক সার ও ৫জন কৃষকের মাঝে পাওয়ারটিলার ও দুইজন কৃষকের মাঝে ড্রাম সিডার বিতরণ করা হয়।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description