কূপে পড়ার ৬৫ ঘণ্টা পরে উদ্ধার শিশু তন্ময়ের দেহ

ভারতের মধ্যপ্রদেশের বেটুলে গভীর কূপে পড়ে আট বছর বয়সী তন্ময় মারা গেছে। কূপে পড়ার ৬৫ ঘণ্টা পর কূপ থেকে তন্ময়কে বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। তন্ময় এর দেহ যখন ৫৫ ফুট ওই গভীর কূপ থেকে বের করা হয়। আর ততক্ষণে তন্ময়ের প্রাণ চলে গেছে। তার লাশ বেটুল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তন্ময়ের মৃত্যুর জন্য প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে তার বাবা ও মা। নিহত তন্ময়ের মা জ্যোতি সাহু কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেছেন, ‘আমার সন্তান আমাকে ফিরিয়ে দাও। নেতা বা কর্মকর্তার সন্তান হলেও কি উদ্ধার করতে এতো সময় লাগতো? অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ওরা কিছু বলছে না। আমাকে তার মরদেহ দেখতেও দিচ্ছে না।’
নিহত তন্ময়ের বাবা সুনীল সাহু বলেন, ‘তন্ময়কে কূপে পড়ে যেতে দেখে আমার মেয়ে আমাকে ঘটনাটি জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এতক্ষণ ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়েও আমার ছেলেকে বাঁচানো গেল না।’
জানা যায়, গত ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের বেটুলে একটি ফাঁকা জায়গায় খেলতে খেলতে গভীর কূপে পড়ে যায় তন্ময়। আর তাকে উদ্ধার করার জন্য তড়িঘড়ি এসে পৌঁছায় পুলিশ। সাথে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল ও আধা সেনার কর্মকর্তারা।
এ বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছিলেন, ‘পাথুরে মাটি থাকার কারণে দ্রুত খননকাজ চালানো যায়নি। উপর থেকেই তন্ময়ের রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার মাপা হচ্ছিল। কিন্তু আতঙ্কে বা অন্য কোনো কারণে সে শুক্রবার সকালে অজ্ঞান হয়ে যায়। উপর থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।’
যদিও অরক্ষিত কূপে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি এই প্রথম নয়। এর আগেও বহু বার শিশুদের অসাবধানতার ফলে অরক্ষিত কূপে পড়ে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু, যাদের মধ্যে অনেককেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি।
গত ২০০৬ সালে ৬০ ফুট গভীর কূপে পড়ে গিয়েছিল প্রিন্স। আর সে সময় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিলেঅ ভারতের সংবাদমাধ্যম। বহু চেষ্টা করার পরে তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়। আর সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, ভারতের অরক্ষিত কূপগুলো দ্রুত ঢেকে দেওয়া হবে। কিন্তু, দেড় দশক পরেও এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেনি। আর এর জেরেই প্রাণ গেল তন্ময়ের। -সূত্র: এএনআই, এবিপি
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description