
কাজিপুরে আবাদি জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায় - আশংকাজনক হারে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ
মাসুদ রানা বাচ্চু সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
যমুনার ভাঙ্গন ,বাড়িঘর নির্মাণ,জমিরশ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন ও মাটি বিএয়, বালি স্তুপাকারে রাখার কারণে কাজিপুরে আবাদি জমি আশংকাজনকহারে কমছে।কাজিপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের দেয়া তর্থে উপজেলায় বিগত ১০ বছর আগে মোট আবাদি জমির পরিমান ছিল ২৪হাজার ৪শ হেক্টর। উপরেল্লিখিত কারণে জমির পরিমান কমতে কমতে ২৪হাজার ৪৪ হেক্টরে দাড়িয়েছে। এর বাইরে স্থায়ী পতিত জমির পরিমান ২০৩ হেক্টর ও আবাদযোগ্য পতিত জমি রয়েছে ৯৫ হেক্টর।
এদিকে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নদীর ভাঙ্গন ছাড়াও বাড়িঘর নির্মানের কারনে বসতবাড়ির জমির পাশাপাশী বাড়িতে রোপিত গাছগাছালির ছায়াজনিত কারনে দিগুনপরিমান জমি অনাবাদি হচ্ছে। এছাড়া জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে পুকুর খনন ও ভাটায় মাটি দেয়ার কারনে অনেক জমিরভালো মাটি বিক্রয়ের কারনে জমি অনাবাদির পরিমান বেড়েই চলেছে। অভিযোগ আছে,মাটি ব্যবসায়ীরা কোন জমির মালিককে ভুলিয়ে ভালিয়েকিছু জমি নিয়ে মাটি কাটার ফলে পাশ্ববত্তী জমির মালিকগণ অনিচ্ছা সত্তেয় জমির মাটি দিতে বাধ্য হচ্ছে, এতে করে অনেক উর্বর জমির মাটি ভাটায় দেয়ায় ভালো জমি ক্রমাগত অনাবাদি হচ্ছে। উপজেলার সোনামূখী ইউনিয়নের পারলকান্দি এলাকার আতাউর নামের এক মাটি ব্যবসায়ী প্রচলিত নিয়ম কানুন না মেনে জমি মালিকদের ক্ষতি করে ৩ ফসলি জমির মাটি ভাটায় বিক্রয় করে চলেছে।এছাড়া কাজিপুরের বৈধ বালি মহলের বাইরে প্রায় ২৬টি অবৈধ বালি মহল তৈরি করে বালি উত্তোলণ করে স্তুপাকারে রাখায় আবাদি জমি অনাবাদি করে রেখেছে।
কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি উদ্বেগজনক, প্রধান মন্ত্রির ঘোষিত প্রতিইঞ্চি ভুমির ব্যবহার নিশ্চিত সহ খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্নতা অর্জনে অতিসত্তর এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সচেতন মহল কাজিপুর জমি রক্ষাত্রে সংশ্লিষ্ট উদ্ধোতন কতৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description