
এবারও থার্টিফাস্ট উদযাপন হচে্ছ না
কক্সবাজার সংবাদদাতা.
আর কয়েক ঘণ্টা পর পৃথিবীর হালখাতা থেকে স্মৃতি হবে ২০২২ সাল। ৩৬৫ দিনের সফলতা ও ব্যর্থতার হিসাব পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় ২০২৩ সালকে স্বাগত জানিয়ে পালন করা হবে থার্টিফাস্ট নাইট।
দেড় দশক থেকে থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজার লোকারণ্য হয়ে উঠে। তবে রোহিঙ্গা আগমনের পর থেকে দেড় দশক ধরে চলা এমন চিত্র ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। তবুও থার্টিফাস্ট এবং বছরের শেষ সূর্যাস্থ দেখতে কক্সবাজার সৈকত ও আশপাশের পর্যটন এলাকায় অতিথি ও স্থানীয় মিলিয়ে কয়েক লাখ পর্যটক সমাগম ঘটে ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির।
টুয়াকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ এম এ হাসিব বাদল বলেন, নব্বই দশকের শেষ থেকে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে বেসরকারি টেলিভিশন কিংবা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি সৈকতে উন্মুক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বর্ষবরণ জমিয়েছে। তারকা হোটেলগুলো ইনডোর অনুষ্ঠান আয়োজন করতো। যেখানে বহিরাগতরাও অংশ নিতে পারত। কিন্তু ২০১৭ সালে একসঙ্গে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা আগমণ ঘটে। এরপর বাংলাদেশে পূর্ব থেকে অবস্থান করা আর তিন লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান হচ্ছে। সেই থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ২০১৭ সাল হতে থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে সৈকত তীরে উন্মুক্ত বা বাউন্ডারি ভুক্ত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর মহামারি করোনা পর ২০১৯ সাল থেকে পুরো পর্যটন নগরীই বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে থার্টিফার্স্ট নাইটের জমজমাট আয়োজন আর হচ্ছে না কক্সবাজারে।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description