
এপার-ওপার দুই বাংলার মিলন মেলা
মনসুর আহাম্মেদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :
প্রতি বছরের ন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলা সীমান্তে বসেছে ‘পাথর কালি মেলা’। বৃটিশ আমল থেকে প্রচলিত এ মেলাকে ঘিরে এপার-ওপার দুই বাংলার মানুষের যেন মিলন মেলা বসেছে। মেলাকে ঘিরে কোন বাধা ছাড়াই সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে স্বজনদের সাথে কুশলবিনিময় করতে পারছেন দুই বাংলার বসবাসরত মানুষরা।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের দুই উপজেলার কোচল ও চাপসার সীমান্তের নিভৃত পল্লী গোবিন্দপুরের কুলিক নদীর পাড়ে বসেছে ভারত-বাংলাদেশীদের এ মেলা। গোবিন্দপুর গ্রামের জামোরকালি জিউ মন্দির কমিটি প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করে।স্থানীয়রা জানায়, এই মেলাকে ঘিরে দুই দেশের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও আবালবৃদ্ধ তাদের আত্বীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য ভিড় করতে থাকে উভয় সীমান্তে। বৃটিশ আমল থেকেই সীমান্ত ঘেষা গোবিন্দপুরের এই মেলা ‘পাথর কালি মেলা’ নামে পরিচিত।
প্রতি বছর এখানে একদিনের জন্য এই মেলা বসে। দেশ স্বাধীনের পরে মেলাটি বাংলাদেশের অংশে পড়লেও মেলায় ভারতীয়দের অংশগ্রহণের জন্য ওইদিন সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয় ভারত। কোন প্রকার বাধা ছাড়াই সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে এসে স্বজনদের সাথে কুশলবিনিময় করতে পারে দুই দেশের বসবাসরত মানুষরা।সাধারণত ডিসেম্বর মাসের সপ্তাহের প্রথম শুক্রবার এ মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও আত্বীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ স্থানীয় পরিচিতদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এছাড়া শুক্রবার সকাল থেকে সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটোচার্জার, পাগলু, মাইক্রোবাস, পিকআপ, নছিমন যোগেও হাজার হাজার মানুষ এ মেলায় সমাগত হন।জামোরকালি জিউ মন্দির কমিটি সভাপতি ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নগেন কুমার পাল বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে পাথর কালি পূজা ও এই মেলা হয়ে আসছে। দেশ ভাগের পরে এই মেলার কারণে বছরে এই একটি দিনে মানুষেরা নিজের আত্বীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারেন।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description