
আ.লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেন বিপুল ঘোষ
নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চারবারের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আওয়ামী লীগের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা বিপুল ঘোষ কে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন চারজনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেছে দলটি। রোববার (১ জানুয়ারি) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
টিভির পর্দায় এই ঘোষণা দেখে দলে দলে ফরিদপুরের বিপুল ঘোষের বাসায় আসতে থাকে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের এই পরীক্ষিত নেতাকে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা মূল্যায়ন করাই সকলে সভানেত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ জানান। এ সময় নেতাকর্মীরা ফুলের তোরা দিয়ে অভিবাদন জানান বিপুল ঘোষকে।এদিকে বিপুল ঘোষকে কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ৩ নং সদস্য নির্বাচিত করায় ফরিদপুর এখন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। এতে আওয়ামী লীগের ত্যাগি পরীক্ষিত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বেশ উচ্ছ্বসিত প্রকাশ করেছেন। তাদের ভিতর অনেকটাই চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তারা দলের সভানেত্রীর কাছে দলের পরীক্ষিত দুর্দিনের এসব নেতাদের মূল্যায়নের দাবি পূরণ করায় তারা সভানেত্রীর ভূয়সি প্রশংসা করেন। এ ধারা দলের সভানেত্রী অব্যাহত রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফরিদপুর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, দল ক্ষমতা থাকা কালীন অবস্থায় তাদের যে মূল্যায়ন হওয়ার কথা ছিল সে মূল্যায়ন হয় নাই। প্রতিনিয়ত দলে বসন্তের কোকিলের আগমন ঘটেছে। এখন বসন্তের কোকিলদের কারণে দল ভারী হয়ে পড়ছে। এইসব বসন্তের কোকিলের অতি দ্রুত দল থেকে সরাতে না পারলে সামনে কঠিন বিপদ আসতে পারে বলে তারা মনে করেন।ফরিদপুর কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, দলের একশ্রেণীর ক্ষমতাশীন লোকজন তাদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত দলে বসন্তের কোকিলদের টানছে। তিনি বলেন আমরা বুকের আওয়ামী লীগ পিঠের আওয়ামী লীগ নয় আমরা কখনোই তাদের এই অপকর্মের সাথে যায় না। যে কারণে তারা তাদের দলের সংখ্যা বাড়াতে বিরোধী মত পথের লোকদের দলে টেনে নিয়ে দলকে বিপথগামী করে তুলছে। এতে সামনের দিনে ভোটের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলেও তারা মনে করেন।জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির এক নেতা জানান, দলের স্বার্থে আমরা যে কোন কিছু করতে পারি। কিন্তু ব্যক্তি কেন্দ্রিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা সহযোগিতা করতে পারি না। আর এই সব কারণেই তারা বসন্তের কোকিলদের নিয়ে দল গোছানোর চেষ্টা করে।
নতুন কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, তারা হলেন- আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বিপুল ঘোষ, দীপংকর তালুকদার, আমিনুল আলম মিলন, আখতার জাহান, ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, মেরিনা জামান কবিতা, পারভীন জামান কল্পনা, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, অধ্যাপক মো. আলী আরাফাত, তারানা হালিম, সানজিদা খানম, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রব্বানি চিনু, মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, সাঈদ খোকন, আজিজুর রহমান ডন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, নির্মল কুমার চ্যাট্টাজী ও তারিক সুজাত।এদের মধ্যে গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়া সাখাওয়াত হোসেন শফিক কার্যনির্বাহী সদস্য হয়েছেন।এছাড়া অভিনেত্রী তারানা হালিম, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)।
গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা দশমবারের মতো নতুন সভাপতি শেখ হাসিনা ও তৃতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওইদিন ৮১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৪৮টি পদে মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description