
আর্জেন্টিনার ভরসার নাম মেসি
এই ম্যাচ জিতলেই ফাইনাল। কী অবস্থা দলের—আবেগের সঙ্গেও কি লড়তে হচ্ছে না?‘প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর আমাদের জন্য এই বিশ্বকাপে সব ম্যাচই তো এ রকম। পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস...সব ম্যাচই তো আমরা “ফাইনাল” ভেবেই খেলতে নেমেছি।’এই ম্যাচ জিতলেই ফাইনাল। এটাই কি ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যাচ? জ্লাতকো দালিচ বলেন, ‘কাল যদি আমরা জিতি, তাহলে এটাই হবে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যাচ।’
৩ নম্বরে। ক্রোয়েশিয়ান কোচের ক্রমতালিকায় ১ নম্বরে গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারানো সেই ম্যাচ। যেটি দুই নম্বরে, সেটিই আজকের সেমিফাইনালটিকে সেই ‘স্বপ্নের ম্যাচ’ হতে দেয়নি। মনে আছে তো, এই সেমিফাইনালই হওয়ার কথা ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা!
এরই মধ্যে নিজেদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ায় ক্রোয়েশিয়া এখন আরও বিপজ্জনক। তাদের সবচেয়ে বড় যে শক্তির কথা বারবার বললেন স্কালোনি, তা হলো, ‘ওরা একটা দল হয়ে খেলে।’ সেই ‘দল’ হয়ে খেলাটাকে প্রথাগত কোনো ছকেও ফেলতে পারছেন না আর্জেন্টাইন কোচ, ‘ওরা খুব বেশি রক্ষণাত্মক নয় আবার খুব বেশি আক্রমণাত্মকও নয়। সব সময় একই রকম খেলে যায়।’
এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সব ম্যাচেই ‘দ্বাদশ খেলোয়াড়’ হিসেবে দেখা দিচ্ছে গ্যালারি। প্রতিটি ম্যাচই যেন আর্জেন্টিনার হোম ম্যাচ। যা দেখে অন্য দলগুলোর ঈর্ষা হওয়াই স্বাভাবিক। ক্রোয়েশিয়ান কোচ অবশ্য এটাকেই অন্যভাবে ব্যবহার করতে চাইলেন, ‘আমাদের সমর্থকেরাও খুব আবেগপ্রবণ। কিন্তু ওরা এবার খুব বেশি আসতে পারেনি। স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার সমর্থকই বেশি থাকবে। চাপটাও তাই ওদের ওপরই বেশি।’ দালিচ যেটিকে ‘চাপ’ বানাতে চাইছেন, স্কালোনি তা থেকেই খুঁজে নিচ্ছেন অনুপ্রেরণা, ‘আমাদের সমর্থকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। জানি না, এখানে আসতে কত টাকা লাগে। তারপরও ওরা এমন দলে দলে এসেছে। ওদের জন্য, পুরো দেশের জন্য আমরা জিততে চাই।’
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description