
অবৈধভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে গরু
মোহাম্মদ আমিন উল্লাহ,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মায়ানমার থেকে অবৈধ অনুমোদন বিহীন দিনরাত আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে গরু। ককসবাজারের রামু,চকরিয়া,ও বান্দরবানের লামা আলীকদম, ওনাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ি পথ দিয়ে চলছে অবৈধভাবে আসা গরুর অবৈধ ব্যাবসা।এই গরু ব্যাবসার নাম দিয়ে চালাচ্ছে রমরমা ইয়াবাসহ বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রম।
এলাকার স্হানীয় কিছু প্রতিনিধি নিজেদের জড়িত করার পাশাপাশি পাচারকারীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই অবৈধ গরুর আড়ৎ খুলে বসে আছে । এই আড়ৎ গুলোতে এক প্রকার রশিদ দিয়ে অবৈধ পাচারকারীদের হাত থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে দৈনিক লাখ লাখ টাকা।
পাচার হচ্ছে শত শত ট্রাক গরু।গোপন সুত্রে জানা যায় , আড়ৎ থেকে রশিদ নিতে গরুর সংখ্যা হিসাবে মোটা অংকের টাকা দিতে হচ্ছে । আর অনেকেই মনে করিতেছে সেখান দেওয়া রশিদ বৈধ দলীল। এছাড়া গরু পাচারকারীর মধ্যে সম্প্রতি প্রতিহিংসা বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে অভ্যান্তরীন বিভাজন। এ প্রক্রিয়ায় একে অপরকে ঠেকানোর প্রতিযোগিতায় নামছে তারা।যার ফলে এ অবৈধ পাচার কাজে ক্ষোভ ও বিরোধের সূত্রপাত হচ্ছে । দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে গরু ছিনতাইয়ের ঘটনা ।
সূত্রে আরও জানা যায়, সেন্ডিকেটের প্রধানরা আধিপত্য বিস্তার করতে একে অপরজনের গরু বহনকারী গাড়ি ধরিয়ে দিয়ে চরম ক্ষয়ক্ষতি সাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । আরও জানা যায়, গত এক সপ্তাহের মধ্যে চকরিয়া,লামা,নাইক্ষ্যংছড়ি, পাহাড়ি পথে পাচারকালীন ১৬ টি গরু অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে লুট করে নিয়ে যায়। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসাইন বলেন, গত ২ জানুয়ারি রামুর জোয়ারিয়ানালা পাহাড়ী পথ দিয়ে পাচার কালে ২২ টি গরু আটক করা হয়। এসব গরুগুলো গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিলাম দেওয়া হয়েছে।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description