
অফিস চলাকালীন সময় বাসের টিকেট বিক্রি করছেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা
ইব্রাহিম সবুজ, কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের কালকিনিতে অফিস চলাকালীন সময়ে বাসের টিকেট বিক্রি করতে দেখা গেছে আবুল খায়ের নামের এক যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে। ওই কর্মকর্তা বর্তমানে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার সিডি খান ইউনিয়নের বটতলা বাজারে। সরেজমিনে দেখা যায় ওই কর্মকর্তার বাড়ির পাশের বটতলা বাস স্টেশনে টিকিট বিক্রি করছেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায়ই সে অফিস টাইমে টিকেট বিক্রি করেন। নিজ নামে কাউন্টার নিয়ে তার তত্বাবধায়নে চলে কাউন্টারটি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই কর্মকর্তা বলেন তিনি এমনিতেই সেখানে বসা ছিলেন। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল খায়ের। তার বাড়ি কালকিনি উপজেলার সিডি খান ইউনিয়নের মাথা ভাঙ্গা (মোহাম্মদ নগর) নামক গ্রামে। তার বাড়ির পাশে বটতলা নামক বাস স্ট্যান্ডে রবিবার দুপুরে সার্বিক পরিবহন বাস কাউন্টারে তাকে টিকিট বিক্রি করতে দেখা যায়। যাত্রী সেজে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় কাউন্টারের লোক কোথায়? তখন তিনি উত্তর দেন তিনিই কাউন্টারের লোক। পরে তিনি জিজ্ঞেস করেন টিকিট লাগবে কিনা? পরে তিনি বলেন, সাড়ে তিনটার গাড়ি ৩.২০ এ চলে এসেছে।
চারটার গাড়িতে টিকিট আছে সামনের দুটি(এ ১,২)। টিকেট লাগলে জলদি বলেন। পরে তার কাছে অফিস টাইমে টিকেট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন তিনি এমনি বসা ছিলেন। এ পরে বিষয়টি জানার জন্য কথা হয় কালকিনি সার্বিক কাউন্টারের প্রতিনিধির সাথে। তিনি জানান বটতলা কাউন্টার আবুল খায়ের ভাইয়ের নামে। তিনিই সে কাউন্টার পরিচালনা করেন। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলেও জানা যায় আবুল খায়ের প্রায়ই অফিস টাইমে টিকেট কাউন্টারে বসে টিকেট বিক্রি করেন। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ।
স্থানীয় গফুর মিয়া জানান, আবুল খায়ের মাঝে মাঝেই টিকিট বিক্রি করতে বসেন। অফিস খোলার দিনও তাকে দেখা যায় মাঝে মাঝে। গ্রামের মানুষ তাকে কি বলবে? সে তো অফিসার। এলাকার প্রভাবশালী মানুষ।কালকিনি উপজেলা শহরের সার্বিক কাউন্টারের পরিচালক নজরুল ইসলাম খন্দকার জানান, বটতলা কাউন্টারটি আবুল খায়ের ভাইয়ের। তিনিই সেটা পরিচালনা করেন।অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল খায়ের বলেন, তিনি সেখানে ছিলেন ই না। তিনি এমনিতেই কাউন্টারে বসা ছিলেন। মাদারীপুরে অফিসিয়াল কাজ সেরে তিনি সেখানে গিয়ে দাড়ান। তিনি কাউন্টারের কেউ না। টিকিট বিক্রির ভিডিও আছে শুনে বলেন, হা তখন সেখানে ছিলাম এখন চলে গেছেন সেখান থেকে।ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, আবুল খায়ের অফিসে নেই। কোন এক কাজে মাদারীপুর গেছেন। তবে তিনি টিকেট বিক্রি করার কথা না। তিনি খোজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description