মামুনুর রশিদ মাহিন-সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বন্ধু সংগঠনটি আজ সকল উপজেলাব্যাপী প্রতিষ্ঠিত।৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে গঠিত বাংলাদেশের বিজয়ী প্রজম্ম এসএসসি ৮৮ ব্যাচ গঠিত হয়।
শুক্রবার ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ২০২২ সারা দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মত সীতাকুন্ডেও এসএসসি ৮৮ ব্যাচ বন্ধুদের পালিত হল প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। এ উপলক্ষে চট্টগ্রামের উপজেলার সীতাকুন্ডস্হ একটি অডোটরিয়ামে সন্ধ্যা৭টার দিকে সাংবাদিক মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন এর আহ্বানে সাড়া জাগিয়ে সীতাকুন্ড উপজেলার এসএসসি ৮৮ ব্যাচের বন্ধুদের চোখে পড়ার মত সমাগম ও উপস্থিত পরিলক্ষিত হয়।
এসময় পরিচিতি পর্ব কেক কর্তন কফি আড্ডা সব মিলিয়ে বন্ধুরা সবাই মিলে মিশে একাকার।সংক্ষিপ্ত পরিসরে সব বন্ধু তাদের ৮৮ সনের স্কুল ও ক্লাসের স্মৃতিচারন করে।৮৮ সনের সেদিনকার এসএসসি পরিক্ষার্থীদের সকলেরই জম্ম হয়েছিল ৭০-৭১ এ।৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। সে সূত্রে বাংলাদেশের বিজয়ী প্রজম্ম শ্লোগান ধারন করেছে বাংলাদেশ ৮৮ ব্যাচ।
উপস্হিত সকল বন্ধুরা তাদের বয়স ৫০ উর্ধ্ব হওয়াই যতদিন বাঁচবেন সকলে সুখে দুঃখে বিপদে আপদে হায়াতে মউতে একে অন্যের সহকর্মী হিসেবে বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখবে এমন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,৮৮ চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার এর লিয়াকত আলী লাকী,নুর মোহাম্মদ তালুকদার, মহিউদ্দিন মইনুল।সীতাকুন্ড বন্ধুরা ছিলেন- সীতাকুন্ড সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে-মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন,মোঃ হেলাল উদ্দীন, কাজী মুজাহিদ খান, মোঃ নুরুল গনি খোকন, মোঃ এখলাছ উদ্দীন, সাখাওয়াত হোসেন, ছোটন নন্দী।সীতাকুন্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে- রেহেনা আক্তার, নাসিমা আক্তার ও তাহমনা শিরিন সিদ্দিক এবং নিজামপুর স্কুল থেকে মালেকা পারভীন।শেখের হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আবুল কাশেম জাফরনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে রবিউল হোসেন মুরাদপুর ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোঃ আলতাফ হোসেন, মোঃ জসীম উদ্দীন ভূঁইয়া, আবু বক্কর সিদ্দিকী রনি, মোঃ এখলাস উদ্দীন, বাড়বকুন্ড উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোঃ জসীম উদ্দীন, মছজিদ্দা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মোঃ মহিউদ্দিন ফরহাদ। অনুষ্ঠানে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারী সীতাকুন্ড উপজেলা ৮৮ ব্যাচবএর সকল বন্ধুদের ফ্যামিলি গেট টুগেদার করতে গুলিয়াখালী সী-বিচ কিংবা সীতাকুন্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকো পার্ককে বেছে নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আগামীতে অন্ততঃ প্রতি দু’মাসে অন্ততঃ একবার এভাবে বন্ধুরা মিলিত হবে এবং তাদের সুখ দুঃখ, হাঁসি কান্না ইত্যাদী শেয়ার করে যতদিন বাঁচবে সুখময় আগামীর প্রত্যাশা করে।