
সুকৌশলে শরীরের বিশেষ অঙ্গে লুকিয়ে চোরাচালানকৃত অবৈধ স্বর্ণের বার বহন করার সময় বাংলাদেশ বিমানের এক নারী যাত্রীর শরীরে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় এক কেজি ওজনের ৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের ওই যাত্রীকে আটক করা হয়। আটককৃত নারী যাত্রীর নাম নুরুন্নাহার।
উদ্ধারকৃত ৮টি স্বর্ণের বারের মধ্যে ৪টি স্বর্ণের বার নুরুন্নাহার বিশেষ কায়দায় প্যাকেটে মুড়িয়ে নিজের বিশেষ অঙ্গে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এছাড়া তার কাছ থেকে প্যাকেটবন্দী আরও চারটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত নারী যাত্রী নুরুন্নাহারের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত ৮টি স্বর্ণের বারের মোট ওজন ৯৩২ গ্রাম যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬৫ লাখ টাকারও বেশি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, আটকের পর নুরুন্নাহারকে বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটককৃত নুরুন্নাহারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এবং দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর বিধান অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানা গেছে বিমানবন্দর সূত্রে।
দুবাই ফেরৎ বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নং বিজি-১৪৮ এ চট্টগ্রাম থেকে ওঠা একজন নারী যাত্রী চোরাচালানকৃত স্বর্ণ বহন করছেন- এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর ওই নারী যাত্রীকে শনাক্ত করেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বোর্ডিং ব্রিজ পার হওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে অবৈধ স্বর্ণ বহনের বথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত নারী। তিনি জানান, তার বিশেষ অঙ্গে বিশেষ কায়দায় স্বর্ণ লুকানো আছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার শরীরে এক্স-রে করা হয়। তখন চারটি স্বর্ণের বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
