সম্প্রতি একটি টিভি বিতর্ক অনুষ্ঠানে হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর স্ত্রী হজরত আয়েশাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ছুঁড়ে দেন ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মা। এছাড়া মহানবীকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট করেন নুপুরের সহকর্মী বিজেপি নেতা নবীন কুমার জিন্দাল।
বিজেপির এই দুই নেতার মন্তব্যের রেশ ধরে ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় ২০ জন পুলিশকর্মীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। পাথর ছোঁড়া, দোকান ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ১৮ জনকে।
মহানবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় ভারতে বিজেপির নারী মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে গ্রেপ্তারের দাবিও তোলা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন নুপুর শর্মা। অন্যদিকে টুইটটি মুছে দেন জিন্দাল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। দুজনকেই ক্ষমতা হারাতে হয়েছে।
মহানবীকে নিয়ে বিজেপির দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আরব বিশ্ব। ভারতীয় পণ্য বর্জনেরও ডাক ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন পরিস্থিতিতে নুপুর শর্মাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিজেপি হাইকমান্ড। বিজেপির দিল্লির মিডিয়া ইনচার্জ নবীন কুমার জিন্দালকেও দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি।
নূপুর শর্মাকে পাঠানো সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটি লিখেছে, আপনি বিভিন্ন বিষয়ে দলের অবস্থানের বিপরীত মতামত প্রকাশ করেছেন। আপনাকে দল থেকে এবং আপনার দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হচ্ছে।