সম্প্রতি রাসূল (সা.) কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ ধরে ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির নেত্রী নূপুর শর্মাকে নিয়ে হুলস্থুল কান্ড ঘটে চলেছে বিশ্বের নানা দেশে। নুপূরের লাগামহীন নোংরা মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব। এর মধ্যেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, দিল্লীতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন নূপুর শর্মা। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, গণধোলাইয়ের শিকার হননি নূপুর। বেশ কয়েক বছর আগের ভিডিও ছড়িয়ে এমন দাবি তোলা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ২০০৮ সালে ভারতের দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারণ করা হয়েছিল। তখন দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন নূপুর শর্মা। তার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে একটি গেট ভেঙে ফেলা হয়েছিল সেদিন।
ভারতের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণে ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বরে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়া দুদিন পর ১০ নভেম্বর ভারতের টাইমস নাও গণমাধ্যমে ‘স্টুডেন্টস স্পিটস অ্যাট ইউনিভার্সিটি প্রফেসর’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রতিবেদসেও এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেমিনারে আমন্ত্রণ পান প্রফেসর এসএআর গিলানি। কিন্তু তিনি ভারতীয় সংসদে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন। প্রফেসর গিলানি ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত থাকার অভিযোগে ২০০৩ সালে নিম্ন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। কিন্তু ২০০৫ সালে উচ্চ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।
প্রফেসর গিলানিকে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদে তৎকালীন দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতি নূপুর শর্মার নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের একটি গেট ভেঙে ফেলা হয়। সেই সময়ে ধারণকৃত একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে সম্প্রতি নূপুর শর্মাকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়।
