
বিয়ে হলো সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি।। বিয়ের আনুষ্ঠানকিতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ও মধুর সম্পর্কে জড়ায় মানব-মানবী। বিয়ের পর শারীরিক সম্পর্কে কোনো বাধা-নিষেধ থাকে না। ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর জন্য এবং স্ত্রী স্বামীর জন্য হালাল হয়ে যান।
বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই নতুন জীবন শুরু করেন। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা জমা হতে থাকে তাদের ঝুলিতে। সেসবের মধ্যে অন্যতম হলো প্রথম সহবাস। জীবনে প্রথমবারের মতো একে অন্যের সঙ্গে মিলনের পূর্ব মুহূর্তে দুজনই হয়তো জড়োসরো থাকেন সংকোচে।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য দুজনকেই আগে সহজ ও স্বাভাবিক হতে হবে। এক্ষেত্রে জাদুমন্ত্রের মতো কাজ করে একে অপরের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ।
একজন মুসলিম স্বামীকে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার আগে ইসলামী আদব মেনে এই দোয়াটি অবশ্যই পড়া উচিৎ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা। (বুখারি, মুসলিম)
এই দোয়ার বাংলা অর্থ হলো, আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদের উভয়কে শয়তানের হাত (কুনজর ও আক্রমণ) থেকে রক্ষা করুন। আমাদের (এই মিলনে) যদি কোনো সন্তান দান করেন তাকেও শয়তানের হাত (কুনজর ও আক্রমণ) থেকে রক্ষা করুন। [সহিহ বুখারী, ফাতহুল বারি হাদিস নং ১৩৮]
উপরোক্ত দোয়া পড়ার অন্যতম উপকারিতা হলো, দোয়াটি পড়ে সঙ্গম করার পর সন্তান হলে শয়তান সেই সন্তানের কোনো ক্ষতি করতে সমর্থ
হবে না।
নবদম্পতি প্রথমবার মিলনের সময় শুধু এই দোয়াই নয়, মহান আল্লাহর কাছে মন খুলে অন্যান্য দোয়াও করতে পারেন দাম্পত্য জীবনের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য। তারা এককভাবে তা করতে পারেন, আবার দুজন একসঙ্গে মিলেও দোয়া পড়তে পারেন।