
‘মেদ ভূঁড়ি কি করি’ কিংবা ‘টাক মাথায় চুল গজান’- এমন চটকদার বিজ্ঞাপন হরহামেশাই চোখে পড়ে। কারণ এ দুটি সমস্যায় ভোগা মানুষরাই কেবল জানেন এর যন্ত্রণা! আর তাইতো এ দুটি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া হয়ে থাকেন তারা। এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে রমরমা ব্যবসা ফেঁদে বসেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।
যাদের মাথায় চুল নেই তাদের নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে যেন অপার্থিব কোনো আনন্দ খুঁজে পান চুলওয়ালা মানুষরা! টাকওয়ালা মানুষ দেখলেই তাকে খেপানোর জন্য টাকলা, টাকলু, টেকো, চান্দিছোলা, স্টেডিয়াম- এমন হরেক রকম গা-জ্বালানো শব্দ প্রয়োগ করেন অনেকেই।
এদেশে বিষয়টি নিয়ে কেউ মাথা না ঘামালেও যুক্তরাজ্যের মাটিতে যদি আপনি এই কম্মটি করেন তবে আপনাকে যৌন হয়রানির দোষে অভিযুক্ত করা হবে, দেয়া হবে শাস্তিও। বিস্ময়কর শোনালেও এটাই সত্যি।
যুক্তরাজ্যে টাকওয়ালা মানুষকে খেপানোর জন্য টাকলু কিংবা এ ধরনের শব্দ ব্যবহার যৌন হয়রানি বলে বিবেচিত। এমনকি টাক নিয়ে রসিকতা আর নারীর স্তনের আকার নিয়ে কটুক্তি করা- দুটি একই ধরনের অপরাধ বলে রায় দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত থেকে।
এর পেছনের যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, সাধারণত পুরুষরাই টাকের সমস্যায় বেশি ভোগেন। কাজেই টাক নিয়ে রসিকতা করা মানে হলো লিঙ্গ বৈষম্য করা।