চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মাণাধীন ঘরে হামলা ভাংচুর ও নির্মান শ্রমিক কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
গত বুধবার বিকেলে হাটহাজারী পৌর এলাকা আদর্শগ্রাম আলমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আলোচনা-সমালোচনা ও চাপের মুখে ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের শিকার কামরুজ্জামানের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আনোয়ার মেহেদি।
তবে ঘটনার পর পরই অভিযোগের তীর উঠে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম রাশেদুল আলমের বিরুদ্ধে। পছন্দের ব্যক্তিকে ঠিকাদারী না দেয়ায় তার নেতৃত্বে এ হামলা। চেয়ারম্যান ওই সময় যুবলীগের একটি বহর নিয়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন।
তার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃতীয় মাত্রাকে তিনি বলেন, একটি প্রজেক্ট দেখার উদ্দেশ্য আশ্রয়ন প্রকল্পের পশ্চিম দিকে গিয়েছিলাম। মাঝ পথে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজও পরিদর্শন করেছি। পরে জানতে পারি আমার বহরের এক ব্যক্তি পরিদর্শনস্থলে নির্মাণাধীন ঘরের একটি দেয়াল ভাংচুর ও এক শ্রমিকের গায়ে হাত তোলেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করি।
ঠিকাদারী না পাওয়ায় এ ঘটনার প্রশ্নই আসেনা। কারন এ প্রকল্প পুরোটাই দেখভাল করছেন নির্বাহী অফিসার। এদিকে ঘটনার একটি ভিডিও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে তুমুল সমালোচনায় পড়েন অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের শিকার নির্মাণ শ্রমিক কামরুজ্জমানের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান যুবলীগ নেতা মেহেদি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম বলেন, দুই ফুট দেওয়ালের চার-পাঁচটি ইট ভেঁঙ্গে দেয়া এবং এক শ্রমিককে মারধর করেছিলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ব্যক্তি মারধরের শিকার ওই শ্রমিকের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।