করোনার এই সময়ে গ্যাস, সার, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন ‘আমাদের সরকার জনগণের সরকার। এ দেশের সব মানুষকে নিয়েই আমাদের চলাচল। আমি মনে করি, কখনো এই চলার পথ বিঘ্নিত হবে না। আমরা ইনশা আল্লাহ সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যাব।’
ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এখান থেকে এগুলোর মূল্যবৃদ্ধির কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমি জানি না। যখন জানব, তখন ব্যবস্থা নেব এবং আমার যা করণীয় তাই করব।’
এফবিসিসিআইয়ের এক অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা প্রণোদনা ঠিকমতো পাননি বলে অভিযোগ করেছেন, এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, এগুলো যাঁদের জন্য, তাঁরা অবশ্যই পাবেন। দেরি হয়ে থাকলেও এগুলো বাতিল হয়ে যাবে না। বাতিলের কোনো ব্যবস্থা নেই।
তবে যে শর্তসাপেক্ষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পূরণ করলেই তাঁরা তা পাবেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি মনে করি, এখানে ভুল–বোঝাবুঝি আছে। আমি আবারও বলব, যদি এমন কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে এগুলো আমাকে দিতে পারেন। তখন আপনাদের ভালোভাবে জবাবও দিতে পারব।’
ক্রয় কমিটির বৈঠকে ৬৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ করার একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন। যৌথভাবে প্রকল্পের পূর্ত কাজ পেয়েছে স্যামওয়ান এবং মীর আখতার।
সামসুল আরেফিন জানান, ‘শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজ নির্মাণকাজে অতিরিক্ত ২৪৯ কোটি টাকা লাগবে বলে একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘শরীয়তপুর-জাজিরা-নওডোবা (পদ্মা সেতু সংযোগ সড়ক) উন্নয়ন’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজ এম এস সালেহ আহমেদের কাছ থেকে ১২৫ কোটি টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।