এমপির মাটি কাটার ছবি ভাইরাল
তৃতীয় মাত্রা: ঝুড়ি মাথায় নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণে অংশ নেয়া কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের ছবি ভাইরাল হয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণের এই উদ্যোগে সংসদ সদস্যের এমন অংশগ্রহণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে ফেসবুক ব্যবহারকারী অনেকে মন্তব্য করেছেন। এজন্য তারা সংসদ সদস্যকে অভিনন্দন জানান।
গত রবিবার এমপি কমল জনসাধারণ, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রামু উপজেলার রাজারকুলে দুই হাজার ফিট লম্বা হযরত মাওলানা আমান উল্লাহ সড়কের মাটি ভরাট কাজ শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ও নেতৃবৃন্দও ঝুড়ি মাথায় নিয়ে কাজে নেমে পড়েন। এ কাজে আরও অংশ নেয় রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসা, মাছুমিয়া মাদ্রাসা ও মনসুর আলী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাথায় ঝুড়ি নিয়ে এমপির রাস্তা নির্মাণের ছবিটি দেয়ার পরই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। অনেকে সংসদ সদস্যর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।
ত্রিরতন চাকমা চাংমা নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘সত্যিকার দেশ গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে কোটি বাঙালির মনপ্রাণকে ছুঁয়ে গেলেন মহোদয়। এ রকম দৃষ্টান্তই হবে রাষ্ট্র গড়ার মূল ভিত্তি। এ রকম আসল হিরো আরো চাই। সালাম। সালাম।’
রোকনুজ্জামান সাগর নামে এক ফেসবুক ব্যবহারী লিখেন, অন্য সাংসদরা এমন দৃষ্টান্ত দেখালে দল, নিজের সর্বোপরি দেশের জন্য ভাল। সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষ কখনও নিরাশ করবে না। কিন্তু অপ্রিয় হলেও অনেকে তা করেন না। মানুষের সাথে একবার হাত মেলালে ৪/৫ বার টিস্যু পেপার দিয়ে হাত মুছে নেয়। সাধারণ মানুষের চাওয়া খুব বেশি না। তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের একটু সুখে দুঃখে পাশে পাবার প্রত্যাশা করে।
সৈয়দ বেলায়েত হোসেন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, সংসদ সদস্য কমলের মতো দেশের বাকি সাংসদরা যদি নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় মাঝে মধ্যে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করতেন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে দেশ। পাশাপাশি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, মেম্বাররা সংসদকে অনুসরণ করলে আমাদের দেশে সোনার বাংলায় পরিণত হবে। আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে।
পলাশ বর্মন নামে একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, এমপি মহোদয়ের সাথে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ যদি এভাবে নিজেই পরিশ্রমী হয় তাহলেই দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনা সম্ভব।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য কমল জানান, প্রত্যেক মানুষের উচিত দেশ ও সমাজের জন্য সাধ্যমতো কাজ করা। এখানে আমি যে একা কিছু করেছি তা কিন্তু নয়। রাজারকুলের মানুষও স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণে অংশ নিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।