মায়া মানুষের আত্মার একটি প্রবৃত্তি
তৃতীয় মাত্রা: মায়া মানুষের আত্মার একটি প্রবৃত্তি। যা মানুষ প্রকৃতিগত, জন্মগতভাবে পেয়ে থাকে। মায়া আছে বলেই আমরা মানুষ। ‘মায়া’ মানুষের আচরণের এক আশ্চর্য সংযোজন। এর কারণেই পৃথিবীটা অন্য রকম মনে হয়। কোন রকম ভনিতা ছাড়া সহজাত প্রবৃত্তি দ্বারাই মানুষের মায়া কাড়া যায়। অনেক গুলো চেহারা থাকে যাদের দেখলেই মায়া কাজ করে। এর জন্য তাকে খুব একটা সুশ্রী হতে হয়না। মায়া দীর্ঘস্থায়ী বা চিরস্থায়ী। শুধু মায়া কাড়াই নয় মায়া পোষণ করাও জীবনের উপভোগ্যতার জন্য প্রয়োজন। এর জন্য একটা সুন্দর স্বাভাবিক মন দরকার হয়। সে ব্যাক্তির জীবন অর্থহীন হয়ে যায়, যে মায়া পোষণ করেনা বা কারো কাছ থেকে মায়া পায়না। মায়া ব্যাপারটা নিঃস্বার্থ তার প্রমাণ হল এই ছবিটা। মায়া তাই নিষ্কলুষ। আমার আক্ষেপ থাকবে যদি জীবনটা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পার করে দিয়ে মাঝ বয়স বা শেষ বয়সে গিয়ে দেখি আমার পাশে কেউ মায়ার হাত বাড়িয়ে নেই! মরে গেলে বা কাউকে ছেড়ে অন্যত্র চলে গেলে দুই-চার-দশ দিনের মাথায় আমাকে ভুলে যায়! এটাই জীবনের চরম অতৃপ্তি ।