নিয়ামতপুরে তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
তৃতীয় মাত্রা
মোঃ ইমরান ইসলাম,নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনি
প্রতিদিন ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মাঠে নামছে কৃষকরা।আমন মৌসুমে ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় এবং বাজারে কৃষি উপকরণ সার, তেল পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে বোরো আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।চলতি মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো ধান চাষ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি মৌসুমে ২১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১৭হাজার ৪শত জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ উপজেলার সর্বত্র এলাকা জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান আবাদের মহোৎসব।কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন,কেউবা চারা রোপণ করছেন।আবার অনেকে জমি প্রস্তুতি করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।সব মিলিয়ে কৃষকদের একটাই উদ্দেশ্য গোলায় তুলতে হবে বোরো ধান।পাখি ডাকা ভোরে ছুটে যান মাঠে সারাদিন কাজ করে সন্ধ্যার সময় ফিরতে দেখা যায়,কৃষকদের।উপজেলার দারাজপুর গ্রামের কৃষক রানা বাবু জানান,প্রচন্ড শীতের কারণে কৃষি শ্রমিকরা অধিক সময় ধরে মাঠে কাজ করতে পারছে না।এ কারণে জমিতে চারা রোপণ করতে চাহিদার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে।তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যে বোরো চাষে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।উপজেলার শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান,আমি পৌষ মাসে ৩বিঘা জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করছি।এখন ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে আমার ক্ষেতে ধানের কুশি হলুদ ও সাদা রঙ ধারণ করেছে।দ্রুত আবহাওয়া ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি।নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহেদুজ্জামান জানান,বাজার সার, তেলর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় বোরো মৌসুমে কোনো সংকট হওয়ার আশঙ্কা নেই।উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধানচাষের জন্য কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করা হয়েছে।মাঠ পর্যায়ে বোরো চাষাবাদে কৃষকদের কৃষি বিভাগের পক্ষে থেকে সার্বিক পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এবার বোরো চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।