সৈয়দপুরে বিএনপির’র মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন শওকত চৌধুরী
তৃতীয় মাত্রা
আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারো বিএনপিতে যোগদান করছেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী। আসন্ন সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনের পূনঃ তফসিল ঘোষনা হলে মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র মতে, ছাত্রজীবন থেকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত ছিলেন। ৮০ দশকে ছাত্রদলের সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সভাপতি এবং পরবর্তীতে যুবদলের সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছর সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক পদে থেকে দলকে সুসংগঠিত করার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি। জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ ছিলেন বটে কিন্তু দলের নিয়ম-নীতি পরিচ্ছন্ন নয় এবং একটি দলের লেজুড়বৃত্তি রাজনীতিতে বাধ্য করায় ইতিপূর্বে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সকল কমিটি ও সদস্য থেকে পদত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকারের মৃত্যুতে যে অপূরণীয় ক্ষতি তা পূরণ হওয়ার নয়। তাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যেতে চাই এবং দলের নেতাকর্মীদের সাথে থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবো ইনশাল্লাহ।
এক প্রশ্নের জবাবেব তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচনে দল যদি আমাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে মনোনয়ন দেয়, তাহলে অবশ্যই দলের নেতাকর্মী ও সৈয়দপুরবাসীকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করবো। আমার বিশ্বাস সৈয়দপুরের আপামর মানুষের অন্তরে এখনও শওকত চৌধুরী রয়েছে।
সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন এমন আলোচনা এখন শহরজুড়ে। সাধারন মানুষের প্রতিক্রিয়ায় নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক দিকটাই বেশি আসছে। বিশেষ করে সংসদ সদস্য হিসেবে পাঁচ বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্তি, রাস্তা-ঘাটসহ দৃশ্যমান নানা উন্নয়ণের চুলছেরা বিশ্লেষন করছে সৈয়দপুরের মানুষ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সৈয়দপুরের অনেক নেতা বলেন, বিএনপি এখন দেউলিয়া রাজনীতির সংগঠনে পরিনত হয়েছে। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও সৈয়দপুরে ওই রাজনীতির একজন নেতা ভয়ে প্রত্যাহার করে নেয়, যা নিয়ে দলটির মধ্যে কোন মিশ্র প্রতিক্রিয়াও পরিলক্ষিত হয়নি। সেই দলে নতুনের আগমনে সৈয়দপুরে রাজনৈতিক কিংবা ভোটে কোন প্রভাব ফেলবে বলে আমার মনে হয় না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার আহবায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার জানান, বিএনপিতে শওকত চৌধুরী যোগ দিচ্ছেন- এটা আমার জানা নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা ছাড়া জেলা, উপজেলা বা অন্য কোন কমিটি কাউকে সদস্য হিসেবে গ্রহন করার এখতিয়ার নেই।
সৈয়দপুরের অনেক প্রবীন নেতারা বলছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শওকত চৌধুরী এ রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ফিরে আসতে পারেন এটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক নেতাই দল পরিবর্তন করে আবার নিজ দলে ফিরে এসেছেন।