‘স্বাধীনতা সড়ক হলে দুই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে’
তৃতীয় মাত্রা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত যোগাযোগ। এজন্যই মুজিববর্ষে স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে মুজিবনগর-নদীয়া হয়ে কলকাতা পর্যন্ত সড়কটি ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নামে চালু হতে যাচ্ছে। মুজিবনগর সরকার, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ করতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। ইমিগ্রেশন, কাস্টমস চেকপোস্ট, সড়ক নির্মাণসহ সব কাজ সম্পূর্ণ করা হলে ‘স্বাধীনতা সড়কটি’ বাস্তবে রূপ নেবে।
বৃহস্পতিবার মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এ সড়কের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক যেমন মজবুত হবে তেমনি এলাকার উন্নয়ন হবে। মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্রও সমৃদ্ধ হবে। মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়ার কৃষ্ণনগর পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের মাত্র ৩০০ মিটার ইটের সোলিং করা। এটুকু পাকা করে সড়কটি প্রশস্ত করলেই স্বাধীনতা সড়কটি উন্মুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রস্তাবিত স্বাধীনতা সড়ক নির্মাণে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ সড়কের মাধ্যমেই মুজিবনগরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন হয়; কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহাসিক এ সড়কটি। মুজিবনগরের স্মৃতি রক্ষার্থে সরকার স্বাধীনতা সড়কটি উন্মুক্ত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কাস্টমসসহ অন্যান্য দফতর এখানে কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন হেলিকপ্টারযোগে মুজিবনগর হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। মন্ত্রীরা মুজিবনগর পর্যটন মোটেল চত্বরে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এরপর মুজিবনগরে স্বাধীনতা সড়ক পরিদর্শন করেন।
পরে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে ‘স্বাধীনতা সড়ক’ (মুজিবনগর-কলকাতা) বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুর রশিদ খান, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।