সরকারি ভবনে চীনা ক্যামেরা না বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের

যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ সরকারি ভবনে দু’টি চীনা কম্পানির সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। কিন্তু, নিরাপত্তা এব্ং চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য এবার সিদ্ধান্ত বদলালো এ দেশটি। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে সব বিভাগকে বলা হয়েছে, তারা যেন আর চীনা কোম্পানির ক্যামেরা না বসায়। তা না হলে গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের নজরদারিব্যবস্থার ভবিষ্যৎ এবং ঝুঁকি নিয়ে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্যাবিনেট অফিস মন্ত্রী অলিবার ডাউডেন পার্লামেন্টে একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের সামনে নিরাপত্তাজনিত কী বিপদ আছে সেটা প্রথমে খতিয়ে দেখা হয়। তারপর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রীরা এখন পুরনো ক্যামেরা বদলে নিতে পারেন, সেগুলো আপগ্রেড করার কোনো দরকার নেই।’
গত জুলাইয়ে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাসংক্রান্ত গোষ্ঠী বিগ ব্রাদার ওয়াচ জানিয়েছিলো, ব্রিটিশ সরকার সরকারি ভবনে যেসব নজরদারি ক্যামেরা লাগিয়েছে। তা দু’টি চীনা কোম্পানি হিকভিশন এবং দাহুয়ার তৈরি।
এরপরেই ৬৭ জন পার্লামেন্ট সদস্য দু’টি চীনা কম্পানির থেকে ক্যামেরা কেনা বন্ধ করার দাবি তোলেন। এই দুই চীনা কোম্পানি আগে সরকারি ছিল। তারা অবশ্য চীনের শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারটি তুলে এই ব্যবস্থা নিতে বলেন।
ডাউডেন বলেছেন, ‘চীনের আইন অনুসারে সরকার এই দুটি সংস্থাকে যাবতীয় তথ্য জানাতে বাধ্য করতে পারে।’
হিকভিশন অবশ্য দাবি করেছে, ‘এই সব অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, হিকভিশন কোনো তথ্যই তৃতীয় পক্ষকে দিতে পারে না। তাদের কাছে যুক্তরাজ্যের ক্যামেরাগুলোর ডাটাবেইস নেই। আর এর কোনো ক্লাউড স্টোরেজও করা হয় না।’ -সূত্র : ডয়চে ভেলে
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description